স্টাফ রিপোর্টার ::
টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সূচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ড. অঞ্জন কুমার দেব রায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ সুলেমান হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ঢাকা গবেষণাগার) শাহেদা বেগম, ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ মো. ফয়সল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসার, তাহিরপুর ইসিএ সমবায় সমিতির সভাপতি গোলাম নুর, টাঙ্গুয়ার হাওর গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম, টাঙ্গুয়ার পাড়ের বাসিন্দা আইরিন বেগম, অজিত হাজং প্রমুখ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ‘টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি ইকোসিস্টেম টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেম পরিসেবা সংরক্ষণ এবং টাঙ্গুয়ার হাওরে স্থানীয় কমিউনিটির অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলাভূমি সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা। টাঙ্গুয়ার হাওরের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জলাভূমি সম্পদের টেকসই ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা এবং একই সাথে তাদেরকে বিকল্প জীবিকায় উৎসাহিত করার মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ জলাভূমির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সার্বিকভাবে প্রতিবেশকে সমৃদ্ধ করা।
প্রকল্প শুরু হয়েছে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ এবং শেষ হবে জুন ২০২৯ খ্রিস্টাব্দ। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ৪৪ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, আগে টাঙ্গুয়ার হাওরে গাছ ছিল, মাছ ছিল, পাখি ছিল, জীববৈচিত্র্য ছিল। এখন এসব নেই, প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে। কারণ ভ্রমণ পিপাসুদের নৌযান চলাচলের কারণে বাদ্যযন্ত্রের শব্দে পাখি বিলুপ্ত হয়েছে। ভ্রমণকারীদের ব্যবহৃত বোতল, সবজির ময়লা, মোরগের ময়লা, অন্যান্য ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলায় মাছ ধ্বংস হয়েছে। পুরো টাঙ্গুয়া ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। তা প্রতিরোধ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ সুলেমান হায়দার বলেন, কোনো অবস্থায় টাঙ্গুয়ার হাওরের ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না। হাওরে কোনো হাউস বোট চলতে দেওয়া হবে না। কারণ এসব চলাচলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একই সাথে ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশে এবং হাওরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পানি স¤পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ড. অঞ্জন কুমার দেব রায় বলেন, আমরা যারা টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের বাসিন্দা আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা সবাই নিজেদের জীবনমানের উন্নয়নের স্বার্থে টাঙ্গুয়ার হাওরকে বাঁচাতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে। কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, টাঙ্গুয়ারপাড়ের বাসিন্দাগণ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি বাস্তবায়ন প্রকল্পের সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মশালা
- আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৯:০০:১৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৫ ০৯:০২:১৬ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ